বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতির ভিত্তিই হচ্ছে কৃষি। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রত্যেকটি সবকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। তাই কৃষির গুরুত্ব অনুধাবন করেই কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কৃষিশিক্ষা ও কৃষিবিদদের যথাযথ মূল্যায়নের ঐতিহাসিক ঘোষণাটি তিনি ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে দিয়েছিলেন। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষিশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন তথা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ দেশের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়। বঙ্গবন্ধুর এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সেই থেকে কৃষিবিদরা ১৩ ফেব্রুয়ারিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১8) মঙ্গলবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ও নার্সভুক্ত বিভিন্ন কৃষি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালি ও সমাবেশের মাধ্যমে ‘কৃষিবিদ দিবস ২০১8’ উদযাপন করেন। উক্ত সমাবেশ ও র্যালিতে বার্ডের পরিচালক (প্রশাসন) কৃষিবিদ ড. কামরুল আহসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের কৃষি ও কৃষকের দ্রুত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কৃষক ও কৃষিকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। তিনি আরও বলেন কৃষিশিক্ষা ও কৃষিবিদদের যথাযথ গুরুত্বের সাথে এবং চাকুরীর ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করে সঠিক মূল্যায়ন করেন। এই সম্মান রক্ষার্থে কৃষিবিদরা অন্যান্য পেশার তুলনায় কৃষিক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। র্যালিতে নার্সভুক্ত কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র গবেষকগণ ছাড়াও বার্ডের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কৃষিবিদগণ অংশগ্রহণ করেন।