প্রায়োগিক গবেষণার শিরোনাম : বার্ড ক্যাম্পাসে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন, গবেষণা এবং ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ
প্রকল্প এলাকা : বার্ড এবং ২টি গ্রাম সমিতি
প্রকল্পের সুফলভোগীর সংখ্যা ও ধরণ : প্রকল্পের সুফলভোগীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। কৃষক ও অন্যান্য এই প্রকল্পের সুফলভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
প্রকল্পের বাজেট : ৭,০০,০০০.০০ (সাত লক্ষ টাকা).
প্রকল্পের মেয়াদকাল : ১ বছর ( ১ জুলাই ২০২৩ হতে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত).
মূল কম্পোনেন্ট
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কাঠামো ও বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা :
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কাঠামো :
১ জন প্রকল্প পরিচালক |
১ জন সহকারী প্রকল্প পরিচালক |
১ জন শ্রমিক |
বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা :
বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা হিসেবে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন, ব্যবহার, গবেষণা ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ট্রাইকো কম্পোস্ট কে একটি ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
১. উৎপাদন, প্যাকেজিং, টেস্টিং
২. প্রদর্শনী প্লট থেকে বিভিন্ন সবজিতে এই সার ব্যবহারে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করা।
৩. এস, আর, ডি, আই থেকে এর গুণাগুণ পরীক্ষা করা
৪. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদন এবং ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিকাশ।
পটভূমি :
উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈববস্তুকে ট্রাইকো-ড্রার্মা সাসপেনশনের সাহায্যে কম সময়ে জমিতে প্রয়োগের উপযোগী, উন্নত মানের জৈব সারে রূপান্তর করাকে ট্রাইকো-কম্পোস্ট বলে। দেশের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র, বার্ড ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাইকো-কম্পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চলছে। ট্রাইকো-কম্পোস্ট মাটিতে ক্ষতিকারক ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। এছাড়া জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ বা হৃদপিন্ড। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জৈব সারের প্রয়োজন। আমাদের দেশে প্রচলিত জৈব সারের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সার ট্রাইকো কম্পোস্ট। উদ্ভিদের বিশেষ ১৬টি খাদ্য উপাদানের মধ্যে ট্রাইকো কম্পোস্ট এ ১২-১৩টি উপাদান বিদ্যমান বিধায় এ ধরনের জৈব সার নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রয়োজন।
উদ্দেশ্য:
১) বার্ড, ক্যাম্পাসে ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন, গবেষণা এবং বিভিন্ন সুফলভোগীদের নিয়ে ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ;
2) ফলাফল প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রচলিত এবং সুরক্ষিত কম্পোস্ট উভয়কে অন্যান্য কম্পোস্টের সাথে তুলনা করে ট্রাইকো-কম্পোস্টের মান মূল্যায়ন করা।
৩) দুই বা দুইয়ের অধিক গ্রামে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করার মাধ্যমে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিকাশ
গ্রামীন উন্নয়নে প্রায়োগিক গবেষণা গ্রহণের যৌক্তিকতা:
ট্রাইকো-কম্পোস্ট সব প্রকার ফসলে যে কোন সময়ে ব্যবহার করা যায়। সবজি এবং কৃষি জমিতে ২-৩ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে ও ফল গাছে গাছ প্রতি ৩-৭ কেজি হারে ব্যবহার করা হয়। ফুল বাগানের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ থেকে ৬০০ কেজি এক হেক্টর জমিতে। মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার ব্যবহারে মাঠে ফসলের ফলন ২০-২৫ ভাগ বৃদ্ধিসহ গুণগতমান ও স্বাদ বাড়ে। এমনকি ফল না ধরা অনেক পুরনো ফল গাছে নতুন করে ফল ধরাসহ ফলদ বৃক্ষে দুইগুণ অবধি ফসল বেড়েছে। জমির স্বাস্থ্য ও উর্বতা বজায় রাখার জন্য জৈব সার ব্যবহার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে এবং মানুষ অনেক বেশি সচেতন এ ব্যাপারে। ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন ও তার যথাযথ ব্যবহার গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ও জমির স্বাস্থ্য রক্ষায় এক মূল্যবান ভূমিকা পালন করবে।
ক) অর্থনৈতিক মূল্যায়ন :
গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের আলোকে ট্রাইকো কম্পোস্ট প্রকল্পের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন বিবেচনা করলে বুঝা যায় যে এটি একটি লাভজনক প্রকল্প হতে পারে। যেমন গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট গোবর ক্রয় ২৪,০০০ টাকা , সাসপেনসন ক্রয় ৮০০ টাকা । বিপরীতে , প্রায় ৫৯,০০০ হাজার টাকার সার বিক্রি করা হয়। ১০ মণ গোবর থেকে ৬ মণ সার পাওয়া যায়। আমরা জানি ৪০ কেজি = ১ মণ , ১ কেজি গোবর ক্রয়ে খরচ হয় প্রায় ৫ টাকা , সুতরাং ৪০×৫ = ২০০ টাকা । বিপরীতে , ১ কেজি সার বিক্রি করা যায় ২০ টাকায় , ফলে ৪০×২০ = ৮০০ টাকা । সুতরাং অর্থনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব বিবেচিত হওয়া উচিত। উল্লেখ্য যে, 202২-2৩ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ৬,০০০০০.০০ (ছয় লক্ষ ) টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থ হতে উক্ত অর্থ বছরে ৩,১৩,৪৪৭.০০ (তিন লক্ষ তের হাজার চার শত সাত চল্লিশ টাকা) টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
খ) সামাজিক মূল্যায়ন :
সামাজিকভাবে ট্রাইকো কম্পোস্ট প্রকল্পটি গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানো যেতে পারে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার মাধ্যমে একদিকে এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে, পাশাপাশি সামাজিকভাবে এটি দ্রুত গ্রহনযোগ্য হইয়ে উঠবে। বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে প্রদর্শনী প্লট তৈরি করে সামাজিকভাবে এর সম্প্রসারণ ও বিকাশ লাভ হতে পারে।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ভিশন অর্জনে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্পৃক্ততা :
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ভিশনের ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রার ১ ও ১৩ লক্ষ্য দুটি এই প্রকল্পের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরি করার মাধ্যমে এই প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া রাসায়নিক সারের বিপরীতে এটির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে রাসায়নিক সারের আমদানি খরচ কমে যাবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ভিশনের ১৩ তম তথা জলবায়ু কার্যক্রম লক্ষ্যটি বাস্তবায়নে কৃষিতে ট্রাইকো কম্পোসটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। যেমন, কৃষির মূল মাধ্যম হলো মাটি। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের কারণে লবণাক্ত পানি ফসলের জমিতে অনুপ্রবেশের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ক্রমাগতভাবে লবণাক্ততা বাড়ছে। এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বেশির ভাগই মে-সেপ্টেম্বর মাসে আমন মৌসুমে হয়ে থাকে। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে তেমন বৃষ্টিপাত হয় না ফলে মাটির লবণাক্ততা মে মাস পর্যন্ত বাড়তে থাকে। শুকনো মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাবে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। আর এর থেকে পরিত্রাণের জন্য টেকসই কৃষি প্রযুক্তি হিসেবে জৈবসার তথা ট্রাইকো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ মাটির জৈব পদার্থ এবং অণুজীবের সাথে লবণাক্ততার সম্পর্ক ঋণাত্মক। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বা অণুজীবের সংখ্যা বেশি থাকলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ে এবং কৈশিক প্রক্রিয়ায় লবণ মাটির উপরিস্তরে আসতে পারে না। তখন বীজের অঙ্কুরোদগম সহজ হয়। সহজে চারা গজানোর ফলে যে সকল জমি শুকনো মৌসুমে পতিত থাকতো তার অনেকাংশে আরেকটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়। এজন্য মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে টেকসই করতে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি অতীব প্রয়োজন।
দারিদ্র্য বিমোচনে ট্রাইকো কম্পোস্টের সম্পৃক্ততা :
১ কেজি গোবরের মূল্য প্রায় ৫ টাকা , ১ মণ গোবরের মূল্য ২০০ টাকা । ১ কেজি সারের দাম ২০ টাকা হারে এক মণ সারের মূল্য ৮০০ টাকা। ১০ মণ গোবর থেকে প্রায় ৬ মণ গোবর পাওয়া যায়। সুতরাং ১০ মণ গোবরের দাম ১০×৫×৪০= ২,০০০ হাজার টাকা। বিপরীতে, ৬ মণ সারের দাম ৬×৪০×২০= ৪,৮০০ টাকা। সুতরাং নীট লাভ হয় ২৮০০ টাকা। ফলে, বাজার মূল্য হিসাব করলে দারিদ্র্য বিমোচনে ট্রাইকো কম্পোস্ট গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কর্মসংস্থান সৃজনে ট্রাইকো কম্পোস্টের সম্পৃক্ততা :
বিভিন্ন গ্রামে প্রদর্শনী প্লট তৈরি এবং গ্রামের কৃষকদের ট্রাইকো কম্পোস্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা যেতে পারে। ট্রাইকো কম্পোস্ট সার মাটির গঠন উন্নত করে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়। উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোডকে মেরে ফেলে, বিভিন্ন রোগ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও ৪০-৬০% রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায় যা নিরাপদ ফসল উৎপাদনসহ ফসলের গুণগত মান বাড়িয়ে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ট্রাইকো কম্পোস্টের সম্পৃক্ততা :
১. টাইকো কম্পোস্ট জৈবসার মাটিতে বসবাসকারী ট্রাইকোডার্মা ও অন্যান্য উপকারী অণুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে অনুর্বর মাটিকে দ্রুত উর্বরতা দান করে, মাটিবাহিত রোগ এবং ক্ষতিকর ছত্রাককে ধ্বংস করে।
২.মাটির অম্লতা, লবণাক্ততা, বিষক্রিয়া প্রভৃতি রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে ফসলের ফলন বাড়ায়।
৩. পানির অপচয় রোধ ও সেচ খরচ কম হওয়ায় ফলে কৃষকের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
৪. মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়।
৫. মাটি ও ফসলের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করার ফলে পরিবেশের উন্নতি ঘটে এবং বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করার সুযোগ তৈরি
এটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী কারণ টাইকো কম্পোস্ট অন্য যে কোনো জৈব সারের চেয়ে দামে সস্তা ও অধিক কার্যকরী।
জলবায়ু পরিবর্তন ও ট্রাইকো কম্পোস্টের সম্পৃক্ততা :
ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের বরফ ক্রমাগত গলে গিয়ে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্রের পানি কৃষিজমিতে প্রবেশের ফলে কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ত্রাইকো কম্পোস্ট সার ব্যবহার অতীব জরুরি বলে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ মাটির জৈব পদার্থ এবং অণুজীবের সাথে লবণাক্ততার সম্পর্ক ঋণাত্মক। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বা অণুজীবের সংখ্যা বেশি থাকলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা বাড়ে এবং কৈশিক প্রক্রিয়ায় লবণ মাটির উপরিস্তরে আসতে পারে না। তখন বীজের অঙ্কুরোদগম সহজ হয়। সহজে চারা গজানোর ফলে যে সকল জমি শুকনো মৌসুমে পতিত থাকতো তার অনেকাংশে আরেকটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়। এজন্য মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে টেকসই করতে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি অতীব প্রয়োজন। যেমন, দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির বর্তমান বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাম্প্রতিককালে মাটির ও পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি। তাই ট্রাইকো কম্পোস্ট ব্যবহার করে কম খরচে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রেখে এবং মাটির উৎপাদনশীলতা সংরক্ষণ করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি আধুনিক টেকসই কৃষি প্রযুক্তি।
প্রকল্প পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের কার্যক্রম টেকসই করার উপায় :
১. গ্রামীণ পর্যায়ে প্রদর্শনী প্লট তৈরি করে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা।
২. ট্রাইকো কম্পোস্ট সারকে লাভজনক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা যেখানে একদিকে বার্ডের রাজস্ব আয় বাড়বে এবং পাশাপাশি গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গড়বে।
৩. রাসায়নিক সারের বিপরীতে এর কার্যকারিতা ও গুরুত্ব প্রচার কারার মাধ্যমে এর বিকাশ অব্যাহত রাখা।
লগ ফ্রেম
উদ্দেশ্য |
নির্দেশক |
পরিমাপ কৌশল |
চলক |
১. ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন |
পরিমাণ |
মণ/ কেজি |
ওজন |
২. গবেষণা |
কমোস্ট বিশ্লেষণ |
এস,আর, ডি,এ থেকে এন, পি, কে, এস, H২O জানা |
মান নির্ধারণ |
গবেষণা রিপোর্ট |
গবেষণা প্লট স্থাপন, তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ, রিপোর্ট প্রণয়ন |
ডিজাইন, প্লট সংখ্যা, সরণী এবং বিশ্লেষণ। |
|
২ টি গ্রামে ট্রাইকো প্লান্ট স্থাপন, ২ টি গ্রামে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, প্রশিক্ষণ |
সংখ্যা |
|
কার্যক্রম :
১. গোবর ক্রয়
২. সাসপেনশন ক্রয়
৩. প্রশিক্ষণ
৪. শ্রমিক নিয়োগ
ফলাফল :
১. ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন
২. উদ্যোক্তা তৈরি
৩. দক্ষ জনবল তৈরি
৪. নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি
উপসংহার
বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে মোটামুটি স্বয়ং সম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এখনও আমাদের কৃষির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ট্রাইকো কম্পোস্ট ব্যবহারে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যতিরেকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ফসলের উৎপাদন অধিক পরিমাণে করা সম্ভব। এক কথায় ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন সন্তোষজনকভাবে বাড়ে অন্যদিকে মাটির উর্বরতাও বাড়ে এবং রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। পৃথিবীর অনেক দেশের ন্যায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে ট্রাইকোডার্মা ও ট্রাইকো-কম্পোস্ট এর ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের কৃষিবাস্তবতা ও উৎপাদন ব্যবস্থায় ট্রাইকো কম্পোস্ট জৈব সারের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই, সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কর্মএলাকায় কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রাইকো-কম্পোস্ট জৈব সার উৎপাদন, ব্যবহার, উপকারিতা কৃষক প্রশিক্ষণ সচেনতা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে। রাসায়নিক সারের ব্যাবহার কমিয়ে, ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা গঠন কারা যেতে পারে । এছাড়া, প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা ও বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা যেতে পারে।