লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উন্নত জাতের মাছ চাষের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ম ধাপে ৩১০ কেজি (আনুমানিক ৩৪,০০০টি) মাছের পোনা ৮৫ জন সুফলভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে মাছের পোনা বিতরণ করেন বার্ডের পরিচালক (পল্লী অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা) ও উপ-প্রকল্প পরিচালক, লালমাই-ময়নামতি প্রকল্প ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ২,০০০ জন সুফলভোগীকে মাছের পোনা বিতরণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১৯৫টি গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃজন করা হয়েছে এবং ৬,২৮২ জন সুফলভোগী এ সকল সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব মাহবুব আলম, কম্পোনেন্ট লিডার (মৎস্য উন্নয়ন) আনাস আল ইসলাম, কম্পোনেন্ট লিডার (নার্সারী উন্নয়ন) মোঃ সালেহ আহমেদসহ প্রমুখ।
মাছের চাষের জন্য ৩য় ধাপে ৮৫ জন সুফলভোগীকে প্রত্যেককে ৪ কেজি করে আনুমানিক মোট ৩৪,০০০টি (৩ ইঞ্চি আকারের) উন্নত জাতের গুণগত মানসম্পন্ন রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় মাছের পোনা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, প্রকল্পের আওতায় গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৫২ জন সুফলভোগীর মাঝে ৩,১৯,৫০০ টি মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত: লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের আর্থিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কর্তৃক ‘সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় এবং ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন লাভের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়।