লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উন্নত জাতের মুরগি পালনের লক্ষে ১৯তম ধাপে ৩৫০০টি মুরগির বাচ্চা ১৪০ জন সুফলভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে ১৯তম ধাপে মুরগির বাচ্চা বিতরণ করেন বার্ডের পরিচালক (প্রকল্প) মোঃ মিজানুর রহমান। এ পর্যন্ত  প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ২,৮০৩ জন সুফলভোগীর মাঝে ৭০,০৭৫টি সোনালী ও ফাউমি জাতের মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লা কর্তৃক বাসত্মবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ২,০০০ জন সুফলভোগীকে মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি উপজেলায় ইতিমধ্যে ২০৮টি গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃজন করা হয়েছে এবং ৭,২০৮ জন সুফলভোগী এ সকল সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (পল্লী অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা) ও লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের প্রকল্প-পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, কম্পোনেন্ট লিডার (সংগঠন ও জীবিকায়ন) জনাব সালাহ উদ্দিন ইবনে সাঈদ, কম্পোনেন্ট লিডার (প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন) ডা. বিমল চন্দ্র কর্মকার, কম্পোনেন্ট লিডার (মৃত্তিকা উন্নয়ন) বাবু হোসেন, কম্পোনেন্ট লিডার (নার্সারী উন্নয়ন) মোঃ সালেহ আহমেদসহ বার্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

মুরগির বাচ্চা পালনের জন্য ১৯তম ধাপে ৩৫০০টি মুরগির বাচ্চা ১৪০ জন সুফলভোগীকে ফাউমি জাতের ৪২ দিন বয়সী মুরগির বাচ্চা প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত: লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের আর্থিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কর্তৃক ‘সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন’  (একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের বার্ড অংশ) শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় এবং ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন লাভের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়।