লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে উন্নত জাতের মাছ চাষের লক্ষ্যে ২য় ধাপে 450 কেজি (আনুমানিক 5৫,0০০টি) মাছের পোনা 120 জন সুফলভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে ২য় ধাপে মাছের পোনা বিতরণ করেন বার্ডের পরিচালক (প্রশাসন) ড. কামরুল আহসান।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ১,৫০০ জন সুফলভোগীকে মাছের পোনা বিতরণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১৪৯টি গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃজন করা হয়েছে এবং প্রায় ৫,০১৯ জন সুফলভোগী এ সকল সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বার্ডের পরিচালক (পল্লী শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন) ড. মাসুদুল হক চৌধুরী, পরিচালক (পল্লী অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা) ও উপ-প্রকল্প পরিচালক, লালমাই-ময়নামতি প্রকল্প ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকল্প পরিচালক ও কম্পোনেন্ট লিডার (কৃষি ও সেচ) ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, কম্পোনেন্ট লিডার (মৎস্য উন্নয়ন) আনাস আল ইসলাম প্রমুখ।
মাছের চাষের জন্য ২য় ধাপে 120 জন সুফলভোগীকে প্রত্যেককে 4কেজি করে আনুমানিক মোট 55,0০০টি (৪ ইঞ্চি আকারের) উন্নত জাতের গুণগত মানসম্পন্ন রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় মাছের পোনা প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত: লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের আর্থিক দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কর্তৃক ‘সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় এবং ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর প্রকল্পটি অনুমোদন লাভের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়।