গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক ১৯৭৬ সনে কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহ জেলার ৩টি সদর থানায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করা হয়। বার্ড কর্তৃক পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশে সর্বপ্রথম জামানতবিহীন ঋণ দান কার্য্ক্রম শুরু হয়। প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের অগ্রগতি সন্তোষজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় জুলাই ১৯৮৮ হতে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ১১টি থানায় প্রকল্পটির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। জুন ১৯৯১ প্রকল্পের ‘প্রথম পর্যায়’-এর বাস্তবায়ন সমাপ্ত হয়। জুলাই ১৯৯১ হতে প্রকল্পের ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রকল্পের ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ বাস্তবায়নকালে বরিশাল জেলার ৪টি ও ভোলা জেলার ৩টি থানাকে প্রকল্পভুক্ত করা হয়। জুলাই ১৯৯৬ হতে প্রকল্পের ‘তৃতীয় পর্যায়’র বাস্তবায়ন চলে। এ পর্যায়ে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা প্রকল্পভুক্ত করা হয়। প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় কার্যক্রম মূল্যায়নপূর্বক ১৯৯৯-২০০৪ মেয়াদে প্রকল্পটি একটি “প্রদর্শনীমূলক” কর্মসূচী হিসাবে বাস্তবায়ন সমাপ্ত হয়। প্রদর্শনীমূলক সময়ে চাঁদপুর জেলার ৩টি, ময়মনসিংহ জেলার ৩টি, ভোলা জেলার ১টি ও বরিশাল জেলার ১টিসহ মোট ০৮টি উপজেলাকে প্রকল্পভূত্তু করার মাধ্যমে ০৮টি জেলার ৩০টি উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা ১৯৮৫ সনের জুলাই হতে এককভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। জনতা ব্যাংক ১৯৭৬ সন এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১৯৯৫ সন হতে প্রকল্পের সুফলভোগী সদস্য/সদস্যাদের ‘জামানত বিহীন’ ঋণ প্রদান করে আসছে।
এভাবে বিগত প্রায় ২৮ বছর সাফল্যের সাথে দেশের ৮টি জেলার ৩০টি উপজেলায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সরকার ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা এসএফডিএফ নামে স্বতন্ত্র একটি সংগঠন গড়ে তোলে। আগামী দিনের গরীব, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের সমস্যাগুলোকে সমাধান করাই এর মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পের নিকটবর্তী উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিকদেরকে সংগঠিত করে তাদের উৎপাদন, কর্মসংস্থান তথা আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ‘জামানত বিহীন’ ঋণ সহায়তা দানের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান উন্নয়ন। প্রকল্পের দীর্ঘ মেয়াদী উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকল্পের আওতায় গঠিত দলগুলোকে দলের সকল সদস্যগণের দলীয় কার্যক্রমে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে আর্থিকভাবে সয়ম্ভর এবং ব্যবস্থাপনার দিক থেকে স্ব-কার্যক্রম দলে উন্নীতকরণ।