প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার শিরোনামঃ পল্লী এলাকায় উন্নত সেবা সরবরাহে ই-পরিষদ প্রকল্প
উদ্যোগী মন্ত্রণালয়/বিভাগ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
বাস্তবায়নকারী সংস্থা : বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, কোটবাড়ী, কুমিল্লা
বাস্তবায়নকাল : জুলাই ২০২৩ - জুন ২০২৪
বাজেট : ৯,০০০০০ (নয় লক্ষ টাকা)
অর্থায়নের ধরণ ও উৎস : বার্ডের রাজস্ব খাত
প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ : (১) জনাব ফৌজিয়া নাসরিন সুলতানা, প্রকল্প পরিচালক
(২) জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রকল্প পরিচালক
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার পটভূমিঃ
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামে নাগরিক সেবার উন্নয়ন কৌশল হিসেবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তথ্য ভান্ডার (বিশেষ করে মানব সম্পদ, সমবায়, প্রাকৃতিক ও সামাজিক সম্পদ ইত্যাদি বিষয়ে ) তৈরির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বার্ড ই-পরিষদ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সদস্যগণের বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ একটি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। এর ফলে প্রত্যেক নাগরিকের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে, যা গ্রামাঞ্চলে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করে দিয়েছে। তবে একটি খানার সদস্যদের চিহ্নিতকরণ, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে তথ্যের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনও ইউনিয়ন পরিষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করছে না। ই-পরিষদ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারে বসবাসকারী ব্যক্তির বিভিন্ন তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত থাকবে। এই তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, চাহিদা অনুযায়ী নতুন সেবা কার্যক্রম সংযোজন, উত্তরাধিকার নির্ধারণসহ নানা কাজ সহজেই করতে পারবে। এটি নাগরিক নিবন্ধন তথ্য ভান্ডার হিসেবে কাজ করবে। এসন দিক বিবেচনায় এই তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা এবং পরিবারের সদস্যগণের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য তথ্য ভান্ডারের বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থাটিও এই প্রকল্পের মাধ্যমে করে দেয়া হবে। এই তথ্য ভান্ডার বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে করে দেয়া হলে ইউনিয়ন পরিষদগুলো অনলাইন ও অফলাইন- দুইভাবেই নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারবে। সরকার বাংলাদেশের গ্রামে বসবাসকারী সকল পরিবার অ নাগরিক সম্পর্কে একটি বৃহৎ তথ্য ভান্ডার প্রাপ্ত হবে।
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্যঃ
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো পল্লী অঞ্চলের জনগণের ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি সহজীকরণের জন্য ইউনিয়ন খানা তথ্য ভান্ডার তৈরী ও সংরক্ষন, ইউনিয়নের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথ্য ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা প্রদান সহকীজরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থাপনা সফটওয়ার সংযোজন। প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য হলোঃ
১)ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা প্রদান কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য জিআইএস কোডিংসহ খানা তথ্য ভান্ডার তৈরী এবং তথ্য ভান্ডার সংরক্ষণ।
২)ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে পরীবিক্ষণ, পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের জন্য ইউনিয়ন তথ্য ভান্ডারসমূহকে একত্রিত করে উপজেলা খানা তথ্য ভান্ডার তৈরী।
৩)ইউনিয়ন পরিষদ দাপ্তরিক কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য অফলাইন ও অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ব্যবহার শুরু করা।
৪)গ্রামাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথ্য ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় তালিকা প্রণয়ন এবং ইউপি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার পরিচালনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার বিশেষ উদ্দেশ্যঃ
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল কম্পোনেন্টসমূহঃ
প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণা এলাকাঃ কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ও বারপাড়া ইউনিয়ন।
গ্রামীণ উন্নয়নে প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রমের প্রভাব ও গুরুত্বঃ
এই প্রকল্পরে মাধ্যমে ইউনয়িন পরষিদে ইউনয়িন পরষিদ ম্যানজেমন্টে সফটওয়্যার সংযোজন করার ফলে ইউনিয়ন পরিষদগুলো অনলাইন ও অফলাইন - দুই ভাবেই নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারবে। সরকারও বাংলাদেশের গ্রামে বসবাসকারী সকল পরিবার ও নাগরিক সম্পর্কে একটি বৃহৎ তথ্য ভান্ডার প্রাপ্ত হবে। এই তথ্য ভান্ডারের সাথে সরকারের অন্যান্য তথ্য ভান্ডারের সংযোগ স্থাপন করা যাবে। এর ফলে সরকার বর্তমানের চেয়েও আরো বিস্তারিত তথ্য ও পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবে। গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পর্যালোচনা, ইউনিয়নের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি সেবা/সাবসিডি ইত্যাদি প্রদানে সহায়ক হিসেবে তথ্য ভান্ডারের ব্যবহার করা হবে। গ্রামীণ উন্নয়ন র্কাযক্রমরে সাথে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার ফলে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বতি হবে এবং জনগণরে অংশগ্রহণ নশ্চিতি হবে। গ্রামাঞ্চলরে র্আথ-সামাজকি উন্নয়নে তথ্য ভত্তিকি পরকিল্পনা প্রণয়নে ইউনয়িন পরষিদরে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পরে আওতায় গ্রামীণ তরুণ-তরুণীদরে প্রশক্ষিণ প্রদানরে মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তগিত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ফলে গ্রামীণ র্কমসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।