Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩

“গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের স্থায়ীত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ী এলাকার জনগণের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন” বিষয়ক প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প

 

উদ্যোগী মন্ত্রণালয়/বিভাগ

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ

বাস্তবায়নকারী সংস্থা

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বার্ড

বাস্তবায়নকাল

জুলাই 2021 থেকে জুন 2025 পর্যন্ত

বাজেট

2,00,00,000/- টাকা

অর্থায়নের ধরন ও উৎস

-

প্রকল্প পরিচালক/ পরিচালকবৃন্দের নাম ও পদবি

ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম-পরিচালক, বার্ড

 

প্রকল্পের/ প্রায়োগিক গবেষণার পটভূমিঃ

“সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পটি সংক্ষেপে “লালমাই-ময়নামতি” প্রকল্প নামে সমধিক পরিচিত। প্রকল্পটি গত ২১.১১.২০১৬ তারিখে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন প্রাপ্ত হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নপ্রসূত “আমার বাড়ি আমার খামার” প্রকল্পের কম্পোনেন্ট হিসেবে কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রকল্পের লোকবল নিয়োগ করা সম্ভব হয় অক্টোবর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে। মাঠ কর্মীদের নিয়োগদানের পর প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হয়।  লালমাই পাহাড়ী অঞ্চলটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৭ কি.মি. দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১-২.৪ কি.মি. প্রস্থ। কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কি.মি. দূরে অবস্থিত এ অঞ্চলকে লালমাই-ময়নামতি হিল রেঞ্জ বলা হয়। পাহাড়ী রেঞ্জের উত্তর অংশকে স্থানীয়ভাবে ময়নামতি এবং দক্ষিণ অংশকে লালমাই বলা হয়। এ অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৩৩ বর্গ কি.মি.। এখানকার কৃষি উৎপাদন বেশি উন্নত নয়। ফলশ্রুতিতে এখানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষে “সমন্বিত কৃষি কর্মকান্ডের মাধ্যমে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়। এ কম্পোনেন্টটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্যমুক্ত "সোনার বাংলা” গড়ার আকাঙ্খা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বার্ড ষাটের দশক হতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রায়োগিক গবেষণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের দারিদ্র্য হ্রাস করে তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রেখেছে। মার্চ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকল্পটির মধ্যবর্তী মূল্যায়ন কার্য সম্পাদিত হয়। মধ্যবর্তী মূল্যায়নে প্রকল্পটির সফলতার চিত্র ফুটে উঠে এবং একই সাথে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। মধ্যবর্তী মূল্যায়নের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করে গত জুন ২০২১ সময়ে ৫০ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি সমাপ্ত হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে থাকা দরিদ্র মানুষকে মুক্তি দিতেই নিজস্ব সঞ্চয়ে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেল’ বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে ভিত্তি জরিপ পরিচালনা, গ্রাম সংগঠন সৃজন, জৈব কৃষির প্রচলন, সর্বাধুনিক ধানের বীজ সরবরাহ ও সংরক্ষণ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির প্রসার, সবজি চাষ, মৌচাষ, মাশরুম চাষ, ফল বাগান সৃজন, নার্সারি সৃজন, উন্নত জাতের হাঁস-মুরগী ও মাছের পোনা বিতরণ, সেচের জন্য সৌরপ্যানেল ভিত্তিক অগভীর নলকূপ স্থাপন, আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিজ পণ্যের বিপণনসহ নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়নের প্রয়াস গৃহীত হয়। প্রকল্প এলাকায় সমন্বিত কৃষি কর্মকাণ্ডে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে ১২টি আয়বর্ধনমূলক ট্রেডে মোট 9,৭৩8 জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষি ও অকৃষি খাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে সুদমুক্ত ও স্বল্প সার্ভিস চার্জে মোট ১৩,৯৪,৭৯,০০০ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া সহজে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে জাতিগঠনমূলক বিভাগসমূহের তৃণমূল পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মীদের সাথে প্রকল্পের সুফলভোগীদের কার্যকরী ঘনিষ্ট সংযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।  এছাড়া লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়নে মন্তব্য করা হয়েছে যে, সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরপত্তা, সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ কৃষিভিত্তিক অন্যান্য কম্পোনেন্টের লাভজনক বাস্তবায়নের ফলে প্রকল্প এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকার মান পূর্বের তুলনায় উন্নত হয়েছে। সর্বোপরি গ্রাম সংগঠন সৃজনের মাধ্যমে নেতৃত্ব সৃষ্টি, সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে।

 

প্রকল্পের / প্রায়োগিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্যঃ

কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো- লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের মাধ্যমে সৃজিত গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনসমূহের স্থায়ীত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক কৃষি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা।

 

প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ

  1. লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের মাধ্যমে সৃজিত ২৯৮টি সংগঠনের সার্বিক সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকীর মাধ্যমে সংগঠনসমূহের স্থায়ীত্বশীলতা বৃদ্ধি করা;
  2. লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের Exit Plan অনুযায়ী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সহায়তায় ঋণ প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা;

অধিক ঋণের চাহিদা আছে এমন সংগঠনে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণা ফান্ড থেকে বিশেষ ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং ঘূর্ণায়মান তহবিল সৃষ্টি করা;

  1. প্রকল্প এলাকার কৃষকদের আধুনিক কৃষি উপকরণ বিতরণ ও বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক ট্রেডে প্রায় ১০০টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা;
  2. উৎপাদিত কৃষিজ ও অন্যান্য কুটিরশিল্পজাত পণ্যের মার্কেটিং/বিপণন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার কৃষক ও গ্রামীণ নারীদের আয় বৃদ্ধি করা; এবং
  3. পিপিপি মডেলের আওতায় বিতরণকৃত কৃষিযন্ত্র ও সৌরশক্তি চালিত অগভীর নলকূপসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাম সংগঠনের আয় বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা।

 

প্রকল্পে/ প্রায়োগিক গবেষণার মূল কম্পোনেন্টসমূহঃ

  1. মাসিক সভার মাধ্যমে লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের মাধ্যমে সৃজিত ২৯৮টি সংগঠনের কার্যক্রম তদারকী করা।
  2. পল্লী সঞ্চয় ব্যংকের মাধ্যমে সদস্যদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, সঞ্চয় আদায়, কিস্তি আদায় ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রাখা এবং কর্মসূচির আয় থেকে কর্মসূচির ষ্টাফদের বেতন-ভাতাদি প্রদান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করা।
  3. (ক) প্রায়োগিক গবেষণা ফান্ড হতে 8% সার্ভিস চার্জে 1.00 কোটি টাকা বিশেষ ঋণ বিতরণ করা হবে। ঋণ বিতরণ কার্যক্রম আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও বুড়িচং উপজেলায় পরিচালনা করা হবে। প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালকের নেতৃত্বে 1জন সহকারী কর্মসূচি পরিচালক ও 3 জন উপজেলা কোঅর্ডিনেটর এবং 3 জন ষ্টাফের সমন্বয়ে কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। তাছাড়া ‍ঋণ আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারকে মাসিক দায়িত্বভাতার ভিত্তিতে নিয়োজন করা হবে। তাছাড়া ঋণ আদায় কার্যক্রমের জন্য 10 জন ঋণ আদায়কারী নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে ঋণ আদায়কারীর যোগ্যতা হবে 25-35 বছর বয়সী মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। প্রাথমিকভাবে লালমাই-ময়নামতি কর্মসূচির মাঠকর্মী অথবা বার্ডের নিজস্ব ষ্টাফদের মধ্য থেকে উপর্যুক্ত কর্মীকে ঋণ আদায়কারী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে হিসাব সংরক্ষণের জন্য সোনালী ব্যাংক, কোটবাড়ী শাখায় “গ্রামীণ ঋণ” শিরোনামে একটি হিসাব খোলা হবে। ঋণ প্রদানের আয় ও ব্যয়ের হিসাব উক্ত হিসাবের সংরক্ষিত হবে। আয় ব্যয়ের হিসাব তিন মাস অন্তর অন্তর পরিচালক (প্রকল্প), পরিচালক (প্রশাসন), অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালকের নিকট উপস্থাপন করা হবে।
  4. কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আধুনিক ও উন্নত মানের কৃষি উপকরণ যেমনঃ উচ্চফলনশীল ধানবীজ, সবজি বীজ, উন্নত জাতের হাঁস-মুরগির বাচ্চা, মাছের পোনা, ফলজ গাছের চারা, কেঁচো সার উৎপাদন ইউনিট, মাশরুম স্পন, সেলাই মেশিন, কৃষি যন্ত্রপাতি, সার ইত্যাদি বিতরণ করা।
  5. ১০০টি ব্যাচে প্রায় ৩০০০ জন সুফলভোগীকে বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক ট্রেডে এবং সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবিক গুণাবলীর উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  6. কৃষিজ ও অকৃষিজ পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে মার্কেটিং/বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
  7. পিপিপি মডেলের আওতায় বিতরণকৃত কৃষিযন্ত্রসমূহের মাধ্যমে আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা এবং উক্ত কাজে সমিতি কর্তৃক প্রদেয় অর্থ থেকে প্রয়োজনীয় মেরামত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
  8. কর্মসূচি এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সরকারি জাতিগঠনমূলক বিভাগসমূহের সাথে সুফলভোগীদের কার্যকরী সম্পর্ক স্থাপনে সেমিনার-কর্মশালা আয়োজন করা।
  9. কর্মসূচির কার্যক্রম মনিটরিং ও মূল্যায়ন করা।        

 

প্রকল্প এলাকাঃ

কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ, আদর্শ সদর, লালমাই, বরুড়া ও বুড়িচং উপজেলায় প্রাথমিকভাবে এই কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।

 

গ্রামীণ উন্নয়নে প্রকল্পের/ প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রমের প্রস্তাব গুরুত্বঃ

প্রকল্পের সুফলভোগীদের স্থায়িত্বশীল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সুফলভোগীদের প্রদান করা হয় এবং সফলভাবে প্রায়োগিক গবেষণা বাস্তবায়ন করা হয়। তবে, এ সকল কৃষি প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স্থায়িত্বশীল করতে এবং ফলাফল টেকসইকরণের জন্য আরও ৩-৫ বছর ধরে বার্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চলমান রাখা জরুরি বলে প্রকল্পভুক্ত ৩টি উপজেলার কো-অর্ডিনেশন কমিটির সকল সদস্য একমত পোষণ করে। এছাড়া প্রকল্প দলিলে (ডিপিপি-তে) উল্লিখিত Exit Plan অনুযায়ী লালমাই ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বার্ড লালমাই ময়নামতি প্রকল্পের ন্যায় ৩০ জুন ২০২১ পরবর্তী সময়ে কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন ২০২১ তারিখে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত এলাকায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত কৃষি উপকরণ ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিষয়ক প্রায়োগিক গবেষণা সমূহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বার্ড ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত স্মারকের শর্ত অনুযায়ী, বার্ড সুফলভোগীদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষি উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রায়োগিক গবেষণা অব্যাহত রাখবে এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ঋণ প্রদান, আদায় ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বতন লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের কর্মচারীদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে আত্মীকরণপূর্বক বার্ড অংশে পদাপদায়ন করবে এবং তাদের বেতন-ভাতাদি নির্বাহ করবে।

এছাড়া প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশ-৪ এ বলা হয়েছে যে, “যে সকল উৎপাদন উপকরণ ও সুবিধাদি (কৃষি ও সেচ যন্ত্র, অতি দরিদ্র সদস্যদের বিশেষ অনুদান ইত্যাদি) সুফলভোগী ও গ্রামোন্নয়ন সংগঠন পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে , সেগুলোর ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে চলমান রাখতে হবে। বার্ডের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বার্ডের রাজস্ব বাজেটের আওতায় কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে অথবা প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ চাওয়া যেতে পারে।”

তাই লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের মাধ্যমে সৃজিত ২৯৮টি গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের স্থায়ীত্বশীলতা বৃদ্ধি করতে এবং আধুনিক কৃষি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ি এলাকার জনগণের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কর্মসূচিটি প্রাথমিকভাবে বার্ডের রাজস্ব বাজেট দ্বারা পরিচালিত হতে পারে এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এডিপি/নন-এডিপি বা দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থার অর্থায়নে দীর্ঘমেয়াদে পরিচালিত হতে পারে।